পুরনো দিনের মতন ডায়েরি লেখা হয় না,
চিঠি লেখাও আর হয়ে উঠে না।
তবে অনেক না বলা কথা জমে আছে।
মনের কথাগুলো ছিল ছোট্ট চারার মতন,
কিন্তু তা ধীরে ধীরে বেড়ে,
মেঘ ফুড়ে গগন ছাড়িয়ে গেছে।
কাউকে বড্ড বেশি দরকার,
জমে থাকা গল্প শোনাবার জন্য।
অনেক কবিতা শোনানোর ইচ্ছে আছে,
তবে খেরো পাতায় তুলে রাখার,
ইচ্ছেটা মরে গেছে।
এই ধরো,
বিকেলে বেলকুনিতে একা বসে চা খাওয়া,
এলোমেলো ভাবনা,
আজ বাসায় কি হলো,
অদরকারি কিছু ঘটনা।
এসব শোনার জন্য বড্ড বেশি,
মনোযোগী শ্রোতা লাগবে।
কাজল লেপ্টে থাকার কারন জানতে চাইবে,
চোখে কিছু পরেছিল,
এই মিথ্যেটা বলার আগেই ধরে ফেলবে।
চোখের নীচের কাল দাগ কেন কমে না,
জানতে চেয়ে শাসন করবে।
কিছু গল্প হয়তো থাকবে,
ফেলে আসা সোনালী দিনের গল্প।
কিছু থাকবে চাপা কষ্টের,
কিছু হয়তো আনমনে হেসে ওঠার কারণের গল্প।
কেউ এমন থাকবে আমাকে আধার ঠেলে,
খাঁচা থেকে প্রাচির ডিঙিয়ে,
সবুজের মধ্যে নিয়ে যাবে।
কেউ একজন থাকবে,
যে কাশ ফুলের দেশে নিয়ে যেয়ে,
আমার না বলা কথা গল্পগুলোকে,
সাদা মেঘের ভেলায় উড়িয়ে দিবে।
বড্ড বেশি খুঁজি সেই মানুষটাকে,
যে একটি একটি পালক দিয়ে গড়িয়ে দিবে,
বড় একটি ময়ূর দোলনা!
ওখানে শুধু নীল শাড়িতে আমিই দুলবো।
এমন একজন কি থাকতে পারেনা?
আমার এলোমেলো ভাবনা গুলোর অলক্ষ্যে ভ্রু কুচকাবেনা।
হারানো অতীত নিয়ে ঘাটবে না।
কিংবা হঠাৎ অসময়ের আবদার থাকবে,
রিকশায় চড়ে হাতে কদমফুল!
সস্তা চটপটি, ফুচকা,ঝালমুড়ি খাওয়া।
কিংবা দোয়েল চত্বরের মাটির জিনিস গুলো,
বেলি ফুলের মালা গুলোর আব্দার থাকবে।
কেউ একজন এমন থাকবে,
পাগলের মত ভালবেসে,
আজন্ম আমার পাগলামি ছেলেমানুষি দেখতে স্বর্গ ছেড়ে দিতে পারবে?
আবার কোন এক ভোরে শিশির ভেজা ঘাসে পা ডুবাবো।
শিশির পড়া রোদ এবং আমার নাকের ফুলে পড়া আলোর ঝিকিমিকি তাকে মুগ্ধ করবে!
হয়তো কোনো অন্যায় দেখে প্রতিবাদী হব,
না রেগে থামাবে আমায়।
কখনো ভীত হলে আগলে রাখবে বুকে।
, মন খারাপের দিনে নিয়ে যাবে,
সমুদ্রের ঢেউ তোলা ফেনিল বালিয়াড়িতে।
প্রয়োজন থাকবে না কোন,
মিথ্যা মুখোশের দক্ষ অভিনয়শিল্পী হওয়া,
কিংবা উপমা ছন্দহীন কবি।
শুধু আবদার রইল,
ভালোবাসার ক্ষমতা নিয়ে,
আমার চোখের তারায় বন্দি হবি।
– নিপা হুসাইন